সাকিবের খরুচে বোলিংয়েও জিতল এমিরেটস

আইএল টি-টোয়েন্টি

এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে জিততে শেষ ১২ বলে ২১ রান প্রয়োজন ছিল শারজাহ ওয়ারিয়র্সের। উইকেটে তখনও দীনেশ কার্তিক ও টিম কোলহার ক্যাডমোর। এর মধ্যে ক্যাডমোর ৪০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত। তখনও ম্যাচ অনেকটাই হেলে ছিল ওয়ারিয়র্সের দিকে। তবে ১৯তম ওভারে জহির খান ক্যাডমোরকে আউট করলে ম্যাচে ফেরে এমিরেটস।

সেখান থেকে তাদের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১। শেষ ওভারে বল করতে আসেন রোমারিও শেফার্ড। তিনি আউট করেন কার্তিককে। এরপর আর জিততে পারেনি শারজাহ। তাদের ১৮১ রানে আটকে রেখে এমিরেটস ৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয়। শারজাহর হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন সিকান্দার রাজা। আর ক্যাডমোরের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

এই ম্যাচে সাকিব আল হাসান দুই ওভার বল করে ২৭ রান খরচ করেন। তবে কোনো উইকেট পাননি। এমিরেটসের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ গাজানফার ও নাভিন উল হক। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফজল হক ফারুকি, জহির খান ও শেফার্ড।

এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৮৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় এমিরেটস। এদিন ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রান করে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। তাও আবার ১২ বলে। সাকিবের এমন ধীর গতির ইনিংসের কারণেই তাকে উঠে যেতে হয়। এরপর তার জায়গায় নামেন কাইরন পোলার্ড।

এমিরেটস অধিনায়ক অবশ্য ২ বলে ৪ রান করেই ফেরেন। শেষের দিকে ১০ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে এমিরেটসের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড। তিনি ৪ ছক্কা ও এ চারে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন। এর আগে ওপেনিংয়ে ৫৬ রান যোগ করেন এমিরেটসের দুই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম ও জনি বেয়ারস্টো। এরপর টম বেন্টন ২১ বলে দ্রুত ৩২ রান যোগ করেন। দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। শারজাহ ওয়ারিয়র্সের হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ। একটি করে উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা, টিম সাউদি ও জুনাইদ সিদ্দিকী।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.