দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক চেয়ারম্যান হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচ বি এম ইকবাল এবং তার সহযোগী ও সংশ্লিষ্টদের ২৪২ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৬ টাকার ৩২১টি পে-অর্ডার স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের উপপরিচালক মো. হোসাইন শরীফ এ আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এইচ বি এম ইকবাল, তার পরিবার এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংঘটিত মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাবলি বিবেচনায় দেখা যায়, তারা বেশকিছু নতুন হিসাব খুলে লেনদেন পরিচালনা করছেন।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র কতিপয় কর্মকর্তার সহায়তায় ইকবাল ও তার পরিবারের বিভিন্ন হিসাব বন্ধ করে তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ব্যাংকটির বনানী ও গুলশান শাখা থেকে ৩৬৪টি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে, যার মোট মূল্যমান টাকা ২৮৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩৫৬ টাকা।
জানা যায়, এ অর্থ ইকবাল ও তার সহযোগীরা অন্যত্র স্থানান্তর এবং বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ পে-অর্ডারগুলোর লেনদেন কার্যক্রম স্থগিত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তারা এসব পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর, হস্তান্তরের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। অতএব, উপর্যুক্ত পে-অর্ডারসমূহের লেনদেন স্থগিত, অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা আবশ্যক।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.