প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন টিউলিপ।
রায় ঘোষণা হওয়ার পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
টিউলিপ বলেন, এর (বিচারের) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ক্যাঙ্গারু কোর্টের সম্পূর্ণ অযৌক্তিক রায়টি আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল…আমার মনোযোগ সবসময় হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের আমার ভোটারদের ওপর এবং আমি বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতিতে বিভ্রান্ত হতে রাজি নই।
এদিকে, মিজ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দেওয়া দুর্নীতির রায়কে স্বীকৃতি দিচ্ছে না তার দল লেবার পার্টিও। কারণ হিসেবে দলটি বলছে, বিচারকাজ চলাকালে টিউলিপ সিদ্দিককে ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এর আগে, গত সপ্তাহে শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ আইনজীবীদের একটি দল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন যে, সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চলা বিচারকাজটি “সাজানো, কল্পিত এবং অন্যায্য”।
প্লট দুর্নীতির মামলায় টিউলিপকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের একটি আদালত। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি (বোনের মেয়ে) টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি জমিসংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় এই রায় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার এক আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রুলে বিচারক জানান, হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ হিসেবে তার বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করে তার মা, ভাই ও বোনের জন্য মূল্যবান জমি নিতে সাহায্য করেছেন। এই রায়ে টিউলিপের মা শেখ রেহানাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.