অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ এখন একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুতই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এই বার্তা দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জিল্লুর রহমান বলেছেন- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই। ইতোমধ্যে নতুন ডিসি ও এসপিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর রেকর্ডসংখ্যক সদস্য নিয়োজিত করা হবে এবং সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিও থাকবে। তিনি দাবি করেন, এসব নিয়োগ নিয়ে কোনো বড় ধরনের প্রশ্ন বা বিতর্ক ওঠেনি।

প্রেসসচিব আরও বলেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল প্রচারণা শুরু করেছে এবং প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। সামান্য কিছু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ছাড়া সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘জুলাই চার্টার দেশের নতুন রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণ করেছে। একই দিনে অনুষ্ঠেয় গণভোটের প্রস্তুতিও চলছে।’

এ সময় তিনি সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘১৯৯৬, ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে- এ ধরনের ইঙ্গিত বাস্তবতা মানে না। মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত একটি দলকে নির্বাচন থেকে বাদ দিলে নির্বাচন অংশগ্রহণহীন হয়- এ ধারণা আমরা মানি না, দেশের জনগণও মানে না।’

তিনি আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও ওই দল স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরতে হলে ক্ষমাপ্রার্থনা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের মুখোমুখি হওয়া জরুরি।

শফিকুল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে- তারা এখনো সহিংস পন্থাকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ভাবছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নই আসে না বলে মত দেন তিনি।

জিল্লুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও ভিডিওগুলো নিয়েও আপত্তি জানান প্রেসসচিব। তিনি অভিযোগ করেন, এসব কনটেন্ট অনেক সময় বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং গুজবের ভিত্তি তৈরি করে।

সবশেষে তিনি বলেন, ‘মানুষ বুদ্ধিমান, তারা সত্য-মিথ্যা বুঝতে পারে। আমি শুধু দুটি বিষয়ে নিশ্চিত- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে, ইনশাআল্লাহ।’