বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত অনুরোধটি ভারত পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ প্রসেঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা বাংলাদেশের সেই অনুরোধ পেয়েছি, এবং বিষয়টি বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট। এ বিষয়ে আমরা সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাব।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘোষিত রায়ের উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গত বছরের জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের মতে, গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকার চকবাজারের চাংখারপুল এলাকায় ছয় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাকে দায়ী করা হয়। ৭৮ বছর বয়সী এই অপসারিত নেত্রী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠানো হয়। সেই অনুরোধই এখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অধীনে রয়েছে।
শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন তুমুল আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তিনি। তখন থেকে দেশটির অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দুই দফায় ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাওয়ার তথ্য স্বীকার করেছে দিল্লি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.