বাংলাদেশের সব পরিবর্তন বা সংস্কার আইনের মাধ্যমেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
সোমবার ঢাকা মহানগর আদালতে ই-পারিবারিক আদালত কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আইন উপদেষ্টা জানান, পারিবারিক বিরোধের ক্ষেত্রে এখন আর আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবা নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ায় একজনের পরিবর্তে তিনজন বিচারককে যুক্ত করা হয়েছে। সংস্কার ভাবনা আরও বাস্তবতার আলোকে হওয়া প্রয়োজন। আমরা খুব বেশি করতে পারিনি। তবে আশা করি, নতুন সরকারও এসব উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। না হলে উদ্যোগগুলো ম্লান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো দুর্বল করা যাবে না। যেকোন প্রক্রিয়াই বাস্তবায়ন করতে গেলে তা ক্রমান্বয়ে এগিয়ে নিতে হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংস্কারের ধারাবাহিকতার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এ পর্যন্ত ২১টি জায়গায় সংস্কার করা হয়েছে। তবে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত না হলে এবং ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে সেগুলো টিকবে না।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, নতুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেপারলেস সিস্টেম আরও এগিয়ে যাবে। এটি আমার জন্য আনন্দের বিষয়। প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করায় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই ডিজিটাল কার্যক্রম আইন পেশাজীবীদের আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা দিতে সহায়তা করবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ই-পারিবারিক আদালত বিচার ব্যবস্থাকে পেপারলেস সিস্টেমের দিকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.