বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ: সালমানের জমি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১২ দশমিক ১৬ একর জমি জব্দ ও ১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, জব্দ সম্পদ গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার ছয়টি দলিলের জমি। অবরুদ্ধে আদেশ দেওয়া ওই ব্যাংক হিসাবে ৫৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার ১৯১ টাকা আছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমানসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। আত্মসাতের ওই অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে লেয়ারিং করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁদের সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

গত ২০ এপ্রিল জালিয়াতির মাধ্যমে মর্টগেজ সম্পত্তিকে অতিমূল্যায়িত করে বন্ডের বিপরীতে বিনিয়োগকারীর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করে দুদক। এ মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সদ্য নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের নামে বন্ড ইস্যু করে এবং ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’-এর নাম ব্যবহার করে প্রচার চালিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করা হয়। এভাবে ১ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। এই বন্ডের নিরাপত্তা হিসেবে যে জমিটি দেখানো হয়, তার প্রকৃত মূল্য ৮৭ কোটি টাকা হলেও তা ১ হাজার ২০ কোটি টাকা হিসেবে দেখানো হয়। উত্তোলিত অর্থের মধ্যে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) করে বিনিয়োগকারীদের মাসিক সুদ প্রদান করা হতো। বাকি ৮০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে নানা ধরনের সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে নগদ উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করা হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.