চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেছেন, বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে দেশের অর্থনীতি অচল হয়ে যাবে এবং বন্দরের ৯০ শতাংশ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রামে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিভাগীয় কনভেনশনে বক্তারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তারা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি ব্যবস্থাপনায় দিলে জাতীয় নিরাপত্তা, বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমবাজার সবই ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৬ নভেম্বর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
তারা বলেন, বন্দর পরিচালনা ও উন্নয়নকে বিদেশি কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল করলে কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা থাকবে না। স্থানীয় শ্রমিকদের পরিবর্তে আউটসোর্সিং ও বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনা বাড়বে, যা সামগ্রিক শ্রমবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
জাতীয় শ্রমিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন শাহিন অভিযোগ করে বলেন, ‘মা, মাটি, মোহনা বিদেশিদের দেব না। বন্দর বিদেশিদের দিলে ৯০ শতাংশ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।’
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি তপন দত্ত বলেন, ‘আগের সরকারের নীতিগত ভুল শ্রমিকদের বিপর্যস্ত করেছে। কিন্তু নতুন সরকারের সিদ্ধান্তগুলোও শ্রমবান্ধব হচ্ছে না। বিশেষ করে বন্দর ইজারা প্রসঙ্গ শ্রমিকের অস্তিত্বে বড় ধাক্কা দেবে। আগের সরকারের সব কিছু খারাপ, কিন্তু এটা কেন ভালো? নাকি এটার পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে?’
শ্রম সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বন্দরের মতো জাতীয় সম্পদ নিয়ে সিদ্ধান্তের আগে জনগণ ও শ্রমিকদের মতামত নেওয়া অপরিহার্য। এখানে সেটি উপেক্ষিত হয়েছে। এটিকে সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা উচিত।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, বিএলএফের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক প্রমুখ।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.