ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিগগিরই একটি বাণিজ্যিক হতে পারে। এই নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনাও চলছে। এর মধ্যেই ভারতের ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড জানিয়েছে, গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত তাদের একমাত্র রপ্তানিকারী শোধনাগারে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসন বারবার বলেছে, ভারতের ওপর আমেরিকার অসন্তোষের অন্যতম কারণ রাশিয়ার তেল কেনা।
প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রিলায়েন্স জানিয়েছে জামনগরের এসইজেড শোধনাগারে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। মূলত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
রিলায়েন্স জানিয়েছে, গত ২০ নভেম্বর থেকে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাক শোধনাগারে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রিলায়েন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে, এসইজেড রিফাইনারি থেকে যে পণ্য রপ্তানি হবে সেগুলো এমন অপরিশোধিত তেল থেকে করা হবে যা রাশিয়া থেকে আনা হয়নি। ২১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর হতে চলা পণ্য আমদানির বিধিনিষেধের জন্যই এই কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই করা হয়েছে।
গুজরাটের জামনগরে দুটি রিফাইনারি চালায় রিলায়েন্স। ডমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়া ইউনিট, মূলত ভারতীয় বাজারে পরিষেবা দেয়।
অন্যদিকে এসইজেড ইউনিট মূলত রিলায়েন্স পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের অধীনে নির্মিত। এখান থেকে মূলত রপ্তানির কাজ হয়।
রাশিয়ার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী সংস্থা রোসনেফ্ট এবং লুকঅয়েল রাশিয়া থেকে ভারতে আসা বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে। রোসনেফ্টের সঙ্গে প্রতিদিন ০.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের চুক্তি রয়েছে রিলায়েন্সের। রাশিয়ার তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট এবং লুকঅয়েলের সঙ্গে লেনদেনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ২১ নভেম্বর শেষ হবে।
এর একদিন আগেই এই বিবৃতিটি দিয়েছে রিলায়েন্স। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২২ অক্টোবর উভয় সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট একটি বিবৃতিতে জানান, ‘ইউক্রেনে ভয়াবহ এবং অর্থহীন এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি তা বন্ধ করতে আগ্রহী নন। এর শাস্তিস্বরূপ দুই বৃহত্তম রুশ তেল সংস্থা রসনেফট এবং লুকঅয়েল-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল। এই দুই তেল সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তারা পুতিনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নতুন সেনেট আইনকে সমর্থন করবেন। এই আইনের মাধ্যমে মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো ক্ষমতা পাবে ওয়াশিংটন।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.