বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মিথ্যা ও সম্মানহানিকর’ তথ্যপ্রচারের অভিযোগে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান গাজীর আদালত এ আদেশ দেন। মামলা গ্রহণ করার উপাদান না থাকায় আবেদনটি খারিজ করেন আদালত।
এর আগে গতকাল বুধবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটোর শাহিন মাহমুদ (এম. এইচ) ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।
গতকাল আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। একদিন পর আদালত আজ এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, এ বছরের ১২ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশের ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে, গণভোটের চাইতে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ,।” মামলার আসামি শাহিন মাহমুদ গত ১৫ নভেম্বর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “৮৮ কোটি টাকা দিয়ে বুলেট প্রুপ গাড়ী না কিনে ঐ টাকা কৃষকদের দিলে পেঁয়াজ, আলুর দামের ন্যায্য দাম পেত।” যার মাধ্যমে আসামি কাণ্ডজ্ঞানহীন ও মিথ্যা পোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গৌরব, সম্মান, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক গৌরবকে কলুষিত করতে আসামি উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছে। আসামির দাবীকৃত ৮৮ কোটি টাকার বিনিময়ে কোনও বিলাসবহুল বুলেট প্রুফ গাড়ি কেনা হয়নি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.