১০ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ‘আরাকান আর্মি’

বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি ট্রলারসহ আরও ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।

বুধবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ পৌরসভাস্থল কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার শেষে ফেরার পথ সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি থেকে আরও একটি ট্রলারসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। তার আগে ট্রলারসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায় তারা। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এদিকে, মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন আইন অমান্য করায় ফের এসব ট্রলার ধরা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আজকে সেখানে ১৬ জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলারসহ ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

বিজিবি বলছে, গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনও ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে। যার ফলে অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.