মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ লাভলু মোল্লাহকে আটক করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ও প্রক্টরিয়াল টিম তাকে তার বাসা থেকে তুলে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে।
রায় প্রকাশের পর লাভলু মোল্লাহ নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত একটি ফটোকার্ড আপলোড করেন, যেখানে লেখা ছিল ‘আই ডোন্ট কেয়ার’।
শাহবাগে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানান, প্রক্টরিয়াল টিম ও কয়েকজন ছাত্র লাভলুকে থানায় নিয়ে আসে। তিনি জানান, লাভলু শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট করেছেন।
তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না—এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওসি বলেন, আইনের যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা, সেটিই করা হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় লাভলু সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা ছিল।
দুই উপায়ে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব: তাজুল ইসলাম
এদিকে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা তার ফেসবুকে লেখেন, লাভলুরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এলাম… গণহত্যাকারী টিচারদের নিয়ে কেউ মধ্যস্থতা করলে তাদেরও হিসাব নেওয়া হবে। আমরা এখানে তোষামোদ করতে বা ক্ষমতার আশায় আসিনি— দুই হাজার শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ইনসাফ আদায়ের শপথ নিয়ে এসেছি। গাদ্দারদের এখানে কোনো জায়গা নেই।
জানা যায়, গত বছরের ছাত্র-জনতার দীর্ঘ আন্দোলনের পরও ঢাবি ভিসি অফিসে দায়িত্বে ছিলেন ছাত্রলীগপন্থী হিসেবে পরিচিত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর তাদের সবাইকে সরিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে সংযুক্ত করা হয়।
ওই পাঁচজনের অন্যতম হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লা, যিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.