চীনের সেনাকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করল আলিবাবা

চীনা টেক জায়ান্ট আলিবাবা বেইজিংকে যুক্তরাষ্ট্রকে নিশানা করতে সাহায্য করার অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপিরকে তারা জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক যে প্রতিবেদনে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’।

শনিবার এএফপির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আলিবাবা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক ‘অপারেশনগুলোর’ জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে। হোয়াইট হাউজ থেকে পাওয়া একটি মেমোর সূত্রে এ প্রতিবেদন করেছে তারা।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ওই মেমোতে দাবি করা হয়েছে যে আলিবাবা চীনা কর্তৃপক্ষ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মিকে (পিএলএ) গ্রাহকের তথ্য, যেমন: আইপি অ্যাড্রেস, ওয়াইফাই তথ্য এবং পেমেন্ট রেকর্ড তুলে দেয়।

গণমাধ্যম জানায় যে তারা নিজেরা এই দাবিগুলো যাচাই করতে পারেনি, তবে উল্লেখ করেছে যে হোয়াইট হাউস মনে করে এই পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এর প্রেক্ষিতে আলিবাবা গ্রুপের মুখপাত্র এএফপি-কে বলেছেন, ওই প্রতিবেদনের দাবি এবং ইঙ্গিতগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।

হ্যাংঝৌ-ভিত্তিক এই সংস্থাটি মেমোটিকে একটি ‘বিদ্বেষপূর্ণ জনসংযোগ কার্যক্রম’ আখ্যায়িত করে বলছে, এটা এমন কারও কাছ থেকে এসেছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চীনের সাথে সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।

এই বিরোধ বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বিদ্যমান সন্দেহের বিষয়টি আবারও তুলে ধরেছে। বহুদিন ধরে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় রয়েছে দেশ দুটি।

জানুয়ারিতে আবার ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের সাথে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। কয়েক মাস ধরে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের পর, দু’পক্ষ গত মাসের শেষে এক বছরের জন্য বিরতিতে সম্মত হন।

যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ ‘এক্স’-এ এক বিবৃতিতে বলেন, চীনা সরকার… স্থানীয় আইন লঙ্ঘন করে বিদেশি দেশগুলো থেকে কোনো তথ্য সংগ্রহ বা সরবরাহ করার জন্য কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তিকে কখনওই ব্যবহার করবে না।

চীনের সম্ভাব্য গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়ে ওয়াশিংটনে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল এই প্রতিবেদন।

বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা অ্যানথ্রোপিক জানিয়েছে যে, তারা প্রথম কোনো এআই দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত সাইবার-গুপ্তচরবৃত্তি অভিযান শনাক্ত করে তা ঠেকিয়ে দিয়েছে।

অ্যানথ্রোপিকের দাবি, চীনা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জিটিজি-১০০২ নামে একটি গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে।

শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানান যে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন এবং বেইজিং সবসময়ই হ্যাকিং কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

অর্থসূচক/


  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.