‘যে যেই অন্যায় করেনি, তাকে সেই অন্যায়ের জন্য হয়রানি কেন করা হবে?’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে’ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজনীতির ভেতরে-বাইরে। এমন অবস্থায় নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সমালোচনাকারীদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছেন, আমরা প্রকৃত অন্যায়কারীর বিরুদ্ধেই মামলা করবো এবং শাস্তি নিশ্চিত করবো। যে যেই অন্যায় করেনি, তাকে সেই অন্যায়ের জন্য হয়রানি কেন করা হবে?

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের করা প্রতিটি মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হাসিনার এবং তার মাফিয়া বাহিনীর প্রতিটি অপরাধের বিচার করতে হবে। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করার নাম রাজনীতি না। আমরা ইনসাফের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ আমলের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের জেলে লাখ লাখ কর্মী বন্দী ছিল, মিথ্যা মামলায়। আমার নিজের জেলার হাজার ছেলের পুরো জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমি নিজে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এর করা ১১০ এর বেশি মামলার আসামি ছিলাম। ময়লার গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে হত্যা মামলা। সব মিথ্যা মামলা। আড়াই বছরের বেশি জেলে ছিলাম। কোর্টে কোর্টে আমার অসুস্থ স্ত্রী দৌড়ে গেছে। আসিফ নজরুল একবার পত্রিকায় লিখেছিলেন একটি কলাম ‘রাষ্ট্র বনাম মির্জা ফখরুল’। জেলে মাটিতেও শুতে  হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছে, নির্বাচনে আসুন, মুক্তি পাবেন।  আমরা প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। ৭ বার জামিন রিজেক্টেড হয়েছে।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি জেলে দেখেছি আমাদের ছেলেদের উপর কী অত্যাচার হয়েছে। সারা শরীরজুড়ে অত্যাচারের দাগ। এদের অনেকের সারা জীবন, ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেছে জেলে! পড়াশোনা হয়নি, সংসার হয়নি। এদের পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। যারা মাঠের রাজনীতি করে না, তারা কোনোদিন জানবে না এদের স্ট্রাগল। কথা নিয়ে অনেক রাজনীতি করা যায়, ফ্যাসিজমের সামনে দাঁড়িয়ে জেলে যেতে পারে না সবাই।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.