নভেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায় ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। যার একটি হলো- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় বা সংলাপ, আরেকটি হচ্ছে- নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন। তবে আমাদের লক্ষ্য নভেম্বর মাসের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো।

 

বাগেরহাটের সংসদীয় আসন পুনর্বহাল বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি এখনও নির্বাচন কমিশনে পৌঁছায়নি জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা এখনো সার্টিফাইড কপি পাইনি। রায়ের কপি হাতে পেলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

 

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সভায় তিনটির বেশি মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যাবে না। পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্লাস্টিক জাতীয় কোনো উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না। তবে ফেস্টুন ও লিফলেট ব্যবহার করা যাবে, নির্ধারিত আকার ও নিয়ম মেনে।’

 

আখতার আহমেদ জানান, এবার থেকে প্রার্থীদের জন্য নতুন একটি বাধ্যবাধকতা যোগ হয়েছে-আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকারনামা। যদি কোনো প্রার্থী রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে প্রার্থী এবং দল-উভয়কেই আচরণবিধি ও প্রাসঙ্গিক আইন মেনে চলার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে। আর যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে তিনি এককভাবে এ প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেবেন।

 

গণভোট আয়োজন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, গণভোট বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বা সচিবালয় পর্যায়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে এখন তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের জায়গা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাসের শেষের দিকে আমরা আরেকটি সভা করবো, সেখানে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।’

 

নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ এই কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রতিটি ধাপ দ্রুত সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের শুরুতেই তফসিল ঘোষণার পরিবেশ নিশ্চিত করাই ইসির মূল লক্ষ্য।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.