২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৪ হাজার ১৮৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকালকের দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২ নভেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ বার, আর কমেছে মাত্র ২৩ বার।
২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
অর্থসূচক/
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.