জাপানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের উচ্চমানের পোশাক আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন

উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চমূল্যের এবং ফ্যাশনেবল পোশাকের আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) জাপান টেক্সটাইল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটিআইএ) প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে এক বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করে।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিজিএমইএ। বাংলাদেশি পোশাক খাতের এই সংগঠনটি জানায়, বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাননীয় মাহমুদ হাসান খান জেটিআইএ প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। যার জবাবে তারা বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের, ফ্যাশনেবল পোশাক আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

জেটিআইএ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি, সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স এবং শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, জাপানের ক্রেতারা এখন উচ্চমূল্যের এবং ফ্যাশনেবল পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে একটি সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে আস্থায় নিয়েছেন।

বৈঠকে জেটিআইএ প্রতিনিধি দলে ছিলেন- এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেডের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তোশিনা কাওয়াই, কোয়া কোম্পানি লিমিটেডের আন্তর্জাতিক লজিস্টিকস সেকশন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট এবং লাইফস্টাইল বিজনেস ডিভিশনের ইসেই নোজাওয়া, তোয়োশিমা অ্যান্ড কোং লিমিটেডের ওভারসিজ অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার শিঙ্গো ইগামী, দ্য জাপান টেক্সটাইলস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নোরিহিরো কোমিয়া এবং এআইটি কর্পোরেশনের ওসাকা সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের মিনামি কোজিরো।

এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি মাননীয় মাহমুদ হাসান খান ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, উত্তরণের পরও শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য জেটিআইএর মাধ্যমে জাপান সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানান। মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘এই সুবিধাটি ইপিএ অথবা পিটিএ-এর মতো একটি পারস্পরিকভাবে লাভজনক কাঠামোর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।’

বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা জাপানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য জেটিআইএ প্রতিনিধিদলের সহযোগিতা কামনা করেন। এর প্রত্যুত্তরে প্রতিনিধিদলটি জানান, ‘তারা বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই জাপান সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’

বৈঠকে উভয় সংগঠনই পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসাথে কাজ করার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.