অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক দুই এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

অগ্রণী ব্যাংকের জন্য ফ্লোর স্পেস কেনার নামে প্রায় ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) নয়জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১০ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ। মামলাগুলো দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রহুল হক বাদী হয়ে দায়ের করেছেন। এতে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার সেরনিয়াবাত ও মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক সাধন চন্দ্র মণ্ডল, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওলাদ হোসেন এবং আলমপনা বিল্ডার্স লিমিটেডের এমডি মো. আসাদ।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের বাবুবাজার শাখা ও ঢাকা দক্ষিণাঞ্চল কার্যালয়ের জন্য অফিস স্পেস কেনার অনুমোদন ছাড়াই ১৪ কোটি টাকা অগ্রিম উত্তোলন করা হয়।

দুদক জানিয়েছে, আসামিরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করে লেনদেন সম্পন্ন করেন, যার ফলে সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আরেক মামলায় বলা হয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই আলমপনা বিল্ডার্সের ‘আলমপনা রব-নূর টাওয়ার’-এর দ্বিতীয় তলায় ফ্লোর স্পেস কেনার নামে সাত কোটি ২০ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। ভবনের জমির মালিকানাসংক্রান্ত দলিল সম্পাদনের আগেই আসামি মো. আসাদ বিক্রয় প্রস্তাব দেন।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে একাধিক ধাপে মোট ২২ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.