ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ করল সিরিয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনও সরাসরি আলোচনা আপাতত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা। ইসরায়েলের দখলে থাকা গোলান মালভূমি ইস্যুতেও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নতুন করে তার আব্রাহাম অ্যাকর্ডস উদ্যোগকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন তখনই সিরিয়ার পক্ষ থেকে এই অবস্থান জানানো হলো।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল শারা স্পষ্টভাবে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে, সিরিয়ার পরিস্থিতি সেই দেশগুলোর মতো নয়।

তিনি বলেন, “সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্ত রয়েছে, আর ইসরায়েল ১৯৬৭ সাল থেকে গোলান মালভূমি দখল করে রেখেছে। বর্তমানে আমরা (ইসরায়েলের সঙ্গে) কোনও সরাসরি আলোচনায় যাচ্ছি না। হয়তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।”

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল গোলান মালভূমিতে দখলদারিত্ব আরও বাড়িয়েছে। আর এটি সিরিয়ার জন্য বাস্তবেই বড় সংকট তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে ইসরায়েল ও কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি হয়েছিল। এটিই মূলত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস। ট্রাম্প কিছুদিন আগে বলেছিলেন, সিরিয়া ও সৌদি আরবও শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিতে যুক্ত হতে পারে বলে তিনি আশা করেন।

এদিকে আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে সিরিয়ার অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট আল শারা বলেন, “আমাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির কিছু কারণ আছে, তবে সেটি এখন থেকে সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে আলোচনা দরকার এবং আইএস ইস্যুতে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছানো জরুরি।”

অন্যদিকে, সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী হামজা আল-মুস্তাফা জানিয়েছেন, আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে সিরিয়া। চুক্তিটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক; এতে এখনও কোনও সামরিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.