গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের ৫৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে ‘হুকুমের আসামি’ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ আদালতে এই অভিযোগপত্রগুলো জমা দেয়।
গত ৪ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সিরাজগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সোহানুর রহমান খান ওরফে রঞ্জু, বিএনপি কর্মী আব্দুল লতিফ এবং ছাত্রদল কর্মী সুমন শেখ। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তিনটি পৃথক মামলা করেন। নিহত রঞ্জুর স্ত্রী মৌসুমী খাতুন, সুমনের বাবা গঞ্জের আলী এবং আব্দুল লতিফের বোন সালেহা খাতুন বাদী হয়ে এই মামলাগুলো দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় ১৫০ থেকে ১৬০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, তিনটি মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। রঞ্জু হত্যা মামলায় ১৯৫ জন, সুমন হত্যা মামলায় ১৭৬ জন এবং লতিফ হত্যা মামলায় ১৭৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনটি মামলার অভিযোগপত্রেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও আছেন সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরি ও হাবিবে মিল্লাত, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
সিরাজগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. রওশন ইয়াজদানী জানান, অভিযোগপত্রগুলো আদালতে জমা দেওয়া হলেও বিচারক এখনো তাতে স্বাক্ষর দেননি। স্বাক্ষরের পরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে এবং পরবর্তী আইনি কার্যক্রম শুরু হবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.