রাজধানীর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে গুলি করে যাকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন’। তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের কাছে মামুনের বুকে গুলি করে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) আহসান উদ্দিন সামি বলেন, নিহত মামুন একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। যারা গুলি চালিয়েছে আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
জানা গেছে, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন নিহত মামুন। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লেগেছিল মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান।
ঘটনার পর তখন পুলিশ বলেছিল, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। ওই গুলি লেগেছিল ভুবনের মাথায়। কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্ত হন। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈফ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী।
পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে ওই ব্যক্তিকে গুলি করেছে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালের সামনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেন, ‘দুইজন ব্যক্তি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইন্সটিটিউট হাসপাতালের প্রবেশমুখে এসে ওই ব্যক্তিকে পেছন থেকে গুলি করে। বেশ কয়েকটি গুলি করার পর ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তারা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।’



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.