অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি সামাজিক খাতে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছি।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির তিনটি পৃথক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুতে তাদের একটি পর্যালোচনা দল বাংলাদেশ সফর করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো মূল্যায়ন করবো। অবশ্যই আমরা সবকিছু শেষ করে যেতে পারবো না। কর কাঠামো পুনর্গঠন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন পর্যালোচনা এবং ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার মতো বড় সংস্কারগুলো চলমান থাকবে এবং পরবর্তী সরকার এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ‘নাগরিকদের কর পরিশোধে এখনও দুর্বলতা রয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে রাজস্ব সংগ্রহেও প্রভাব পড়েছে। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।’
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার হাতে নিয়েছে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে অগ্রগতি মূল্যায়ন করছে।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাম্প্রতিক কিছু নীতিগত প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, কোন বড় সিদ্ধান্ত সরকার সম্মিলিতভাবে নেবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদিত ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, রাজস্ব সংস্কার জোরদার করা এবং বৈশ্বিক চাপ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি। ইতোমধ্যে কয়েকটি কিস্তি ছাড় হয়েছে, তবে পরবর্তী কিস্তিগুলো নীতিগত অগ্রগতি ও কাঠামোগত সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.