রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানিতে হাঙ্গেরিকে ছাড় দিল যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে হাঙ্গেরিকে এক বছরের জন্য ছাড় দিয়েছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। সেসময় রুশ জ্বালানি আমদানিতে বিশেষ ছাড়ের অনুরোধ জানান তিনি। তাদের বৈঠকের পরই এ সিদ্ধান্ত নিলো মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন রুশ তেল কোম্পানি লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর ইউক্রেন যুদ্ধসংক্রান্ত নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞায় সতর্ক করা হয়েছিল, এসব কোম্পানির কাছ থেকে তেল কিনলে তৃতীয় দেশগুলোকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দীর্ঘদিন থেকেই রাশিয়ান জ্বালানি নির্ভরতা কমাতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে চাপ দিয়ে আসছেন।

তবে হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অরবান যুক্তি দেন, হাঙ্গেরি ভৌগোলিকভাবে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়ান তেল-গ্যাস ছাড়া তাদের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অরবানের যুক্তিতে কিছুটা সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি, কারণ তার (অরবান) জন্য অন্য অঞ্চল থেকে তেল ও গ্যাস আনা সত্যিই কঠিন। আপনারা জানেন, তাদের কোনো সমুদ্রবন্দর নেই। হাঙ্গেরি একটি মহান দেশ, কিন্তু তাদের সমুদ্রপথ নেই।’

এ ছাড়ের ফলে হাঙ্গেরি আগামী এক বছর রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি অব্যাহত রাখতে পারবে। ঘটনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক রাশিয়া-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা নীতির একটি ব্যতিক্রম। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের অভ্যন্তরীণ জ্বালানি নীতি ও ঐক্যে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.