চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনি গণসংযোগে অংশ নেওয়া ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে সরোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরশাদ উল্লাহ চিকিৎসাধীন আছেন। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির সরোয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে ১৬টি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা তিনি।
গত ২৯ মার্চ রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় সরোয়ারের প্রাইভেটকার গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। সেদিন গুলিতে গাড়িতে থাকা দুজন নিহত হন। তারা হলেন বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬)। তারা সরোয়ারের সহযোগী। পাশাপাশি সরোয়ার ও তার দুই সহযোগী রবিন এবং হৃদয় গুলিবিদ্ধ হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর থেকে সরোয়ার কোথায় ছিলেন, তা অজানা ছিল পুলিশ ও প্রশাসনের। তবে তিনি কারও রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন, শুরু থেকে এটি বলছিল স্থানীয় লোকজন।
পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে সরোয়ারকে গুলি করা হয়।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। একসময় সরোয়ার হোসেনও তাঁর অনুসারী ছিলেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরোয়ার তাঁদের কাছ থেকে সরে যান। সরোয়ার এক মাস আগে বিয়ে করেন। তাঁর বিয়েতে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.