ভারতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আদানির বিদ্যুৎ সংস্থা আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাওয়ার সাপ্লাই সংক্রান্ত বকেয়া অর্থপ্রদানের বিষয়ে উদ্ভূত বিতর্ক সমাধানের জন্য তারা আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে।
সংস্থাটি ভারতের বিশাল ব্যবসায়ী গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ চুক্তির আওতায় সরবরাহকৃত বিদ্যুতের বকেয়া অর্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদে রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আদানি গ্রুপের একজন মুখপাত্রের বক্তব্যে বলা হয়েছে, “কিছু খরচের উপাদান গণনা ও বিলিংয়ের ক্ষেত্রে মতবিরোধ রয়েছে। তাই উভয় পক্ষই বিতর্ক সমাধান প্রক্রিয়া গ্রহণে সম্মত হয়েছে এবং তারা দ্রুত, সহজ ও পারস্পরিক উপকারী সমাধানের আশা করছে।”
তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনো আলোচনা চলমান। তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, প্রয়োজন হলে আমরা আন্তর্জাতিক সালিশির পথে যাব।”
আদানি পাওয়ার ভারতের পূর্বাঞ্চলে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক দশমাংশ পূরণ করে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, গোড্ডা প্ল্যান্টের জন্য ভারত থেকে পাওয়া কর সুবিধা বিরোধীভাবে স্থগিত রাখায় তারা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
বাংলাদেশ গত অর্থবছরে আদানিকে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ৮৭ টাকা হারে বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করেছে, যা অন্যান্য ভারতীয় কোম্পানির সরবরাহকৃত বিদ্যুতের গড় ৯ দশমিক ৫৭ টাকার চেয়ে বেশি।
গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।
সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, “আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।”
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.