ধারাবাহিক পতনে অক্টোবরে রপ্তানি আয়ে কমেছে ৭.৪৩ শতাংশ

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে দেশের রপ্তানি আয় উদ্বেগজনকভাবে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম।

তবে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের ওপর ভর করে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে রপ্তানি আয় বছরে ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে ১৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ১৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়টিতে অর্ডার কমে যাওয়ায় ও ইউডি আবেদন হ্রাসের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি রপ্তানিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে তৈরি পোশাক খাতে আয় হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। ওভেন ও নিটওয়্যার—দুই উপখাতেই যথাক্রমে ১০ শতাংশের বেশি ও ৫ শতাংশের বেশি পতন ঘটেছে।

তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে নিটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ (৭ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার) এবং বোনা পোশাক বেড়েছে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ (৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার)।

অন্য খাতগুলোর মধ্যে হোম টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ (২৭৯ মিলিয়ন ডলার), চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ (৪১৪ মিলিয়ন ডলার), ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ৩৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ (২২০ মিলিয়ন ডলার) এবং পাট ও পাটজাত পণ্য ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ (২৭৭ মিলিয়ন ডলার)।

অন্যদিকে কৃষিপণ্য খাতে রপ্তানি ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে ৩৭৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ইপিবি জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে অধিকাংশ পণ্যের রপ্তানি আয়ে পতন ঘটলেও, চার মাসের সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের স্থিতিস্থাপকতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা প্রমাণ করছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.