গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক দাবির প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পক্ষ থেকে এ জবাব দেওয়া হয়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় বেইজিং কয়েক দশক ধরেই অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে এবং সে অঙ্গীকার তারা এখনও অনুসরণ করছে।
রবিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া ভূগর্ভে গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে থাকার প্রয়োজন দেখছেন না তিনি। তাই পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে নিজের দাবি পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যথাক্রমে ১৯৯০, ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কেবল উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও গত সপ্তাহে মস্কো অতি দীর্ঘ পাল্লার এক পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার দাবি করেছে।
ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মাও নিং বলেন, “দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের অঙ্গীকার মেনে চলছে চীন। আমরা ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ নীতি মেনে চলি, এবং আমাদের পারমাণবিক কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে আত্মরক্ষার নীতি। পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাও আমরা স্থগিত রেখেছি।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান, পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে। মাও নিং আশা প্রকাশ করেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও বিস্তাররোধ চুক্তির আন্তর্জাতিক কাঠামো রক্ষা এবং বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.