বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীর আসন ধরে রেখেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। গত শনিবার (১ নভেম্বর) ফোবর্স ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে ইলন মাস্কই শীর্ষে রয়েছেন।
এদিকে ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ফোবর্সের প্রতিবেদনে। কারণ আগামী ৬ নভেম্বর ইলন মাস্ককে কোম্পানির অতিরিক্ত এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের শেয়ার দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভোট হবে। সেই ভোটের প্রস্তাব পাস না হলে ইলন মাস্ক কোম্পানি ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহলম।
প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক টেসলা, স্পেসএক্স, এক্স (সাবেক টুইটার) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি টেসলার ১২ শতাংশ শেয়ারের মালিক। শেয়ারের মালিকানা ছাড়াও কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি বিপুল পরিমাণ বেতনও পান।
গত ১ নভেম্বর ইলন মাস্কের মোট সম্পদমূল্য ছিল ৪৯৭ বিলিয়ন বা ৪৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। গত ১ অক্টোবর তাঁর সম্পদমূল্য ছিল এর চেয়ে ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার কম। কিছুদিন আগে বিশ্বের প্রথম ধনী হিসেবে তাঁর সম্পদমূল্য ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার বা এক লাখ কোটি ডলারের মালিক হবেন।
ফোবর্সের করা নভেম্বরের ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। কিছুদিন আগে তিনি ইলন মাস্ককে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন। ফোবর্সের হিসাবে, গত ১ নভেম্বর তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ৩২০ বিলিয়ন বা ৩২ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু গত মাসের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার কমেছে।
ফোবর্সের নভেম্বরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে অ্যামাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এ সময় তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ২৫৪ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। গত মাসের একই সময়ের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
সম্প্রতি মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন জেফ বেজোস। তাঁর মতে, প্রযুক্তির অগ্রগতিতে পৃথিবী ধ্বংসের পথে নয়; বরং নতুন সম্ভাবনা বা ‘সভ্যতার প্রাচুর্যের’ যুগে প্রবেশ করছে। আগামী দুই দশকের মধ্যে কোটি মানুষ মহাকাশে বসবাস করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন ইতালিয়ান টেক উইক ২০২৫-এ আয়োজিত আলোচনায়।
ফোবর্সের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ, পঞ্চম স্থানে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তাঁদের পর আছেন গুগলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্জেই ব্রিন, এলভিএমএইচের বার্নার্ড আর্নল্ট, এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং, মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমার এবং ডেল টেকনোলজিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল।
ফোবর্স জানায়, ধনীদের সম্পদমূল্য মূলত শেয়ারবাজারের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা প্রমাণ করে যে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনই এখন সম্পদ সৃষ্টির মূল চালিকাশক্তি।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.