বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে বারবার ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়। তারা ইসলামের ক্ষতি করতে চায়। তাদের কাছ থেকে আমাদের দূরে ও সাবধান থাকতে হবে। ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার নয়, জীবনের আদর্শ হিসেবে ধারণ করতে হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আজমতে সাহাবা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। কাসেমী পরিষদ আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মদিনার ইসলামে বিশ্বাসী। রাসুল (সা.) যে ইসলামের প্রবর্তন করে গেছেন, সাহাবায়ে কেরাম যে ইসলামের অনুশীলন করে গেছেন, আমরা সেই ইসলামের অনুসারী। এখানে আমরা কেউ মওদুদি ইসলামের অনুসারী নই। সুতরাং যারা ফিতনা তৈরি করে বাংলাদেশে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, তাদের কাছ থেকে আমাদের সাবধান হতে হবে। আমাদের উচিত, সহিহ দ্বীনি শিক্ষা ও চর্চা করা।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষী, আলেমবিদ্বেষী রাজনীতি করেছে। তারা মুসলিমবিদ্বেষী সরকার ছিল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এ দেশের মানুষ দেখেছে। তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য ইসলামবিদ্বেষী রাজনীতি, আলেম নির্যাতনের রাজনীতি, আলেমবিদ্বেষী রাজনীতি, মুসলিমবিদ্বেষী রাজনীতি করেছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমাদের আগামী দিনের আদর্শিক ও ভালো আদর্শের রাজনীতির চর্চার মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী তথা কথিত অপরাজনীতির সংস্কৃতি বিলুপ্তি করতে হবে। ভালো রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। একমাত্র এর মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশে অপরাজনীতি সমূলে বিদায় হবে, আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। আদর্শিক ও সঠিক রাজনীতির মাধ্যমেই বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওলাদে রাসুল আল্লামা সাইদ আল হোসাইনী (পাকিস্তান), আল্লামা খলিল আহমাদ কুরাইশী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য আবু আল ইউসুফ, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.