ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত করতে সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটি চলতি বছর কয়েকটি বৈঠক করেছে।
এসব বৈঠকে নীতিনির্ধারণে উদ্যোক্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন ও বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। গত ২৮ আগস্ট, ২১ সেপ্টেম্বর, ৮ ও ৯ অক্টোবর সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নেওয়া মূল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে দুটো বাস্তবায়িত হয়েছে। একটি হলো বৈদেশিক অর্ডার থেকে প্রাপ্ত অর্থের ১০ শতাংশ বাধ্যতামূলক ব্যাংকে মা রাখার নিয়ম বাতিলের উদ্যোগ।
আরেকটি হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বছরে ন্যূনতম ৩ হাজার ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা কোটা বরাদ্দের প্রস্তাব। এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—এসএমই খাতের জন্য নতুন ফিনান্সিয়াল প্রোডাক্ট ডিজাইনের জন্য কর্মশালা আয়োজন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের সম্ভাব্যতা যাচাই, ব্যাংকের রিফাইন্যান্সিং স্কিমকে আরও আকর্ষণীয় করতে সুদের হার পুনর্বিবেচনা।
এছাড়া দ্রুত পেমেন্ট, সহজ কাস্টমস, অনলাইন বিক্রির অর্থ দ্রুত জমা, রপ্তানি নীতিমালায় বিটুবি ও বিটুসি মডেল অন্তর্ভুক্তি এবং এগ্রো-অর্গানিক সার্টিফিকেট ইস্যুর সমস্যা সমাধানসহ আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো অর্থনীতিতে গতিশীলতা বৃদ্ধি করা। সম্মিলিতভাবে এসএমই খাত আমাদের অর্থনীতিতে বিশাল অবদানকারী।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের অবশ্যই এসএমই উদ্যোক্তাদের গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে হবে এবং তাদের ব্যবসা প্রতিটি পর্যায়ে সহজতর করতে হবে—অর্থায়ন থেকে পেমেন্ট এবং লজিস্টিকস পর্যন্ত। সরকারকে এর সহায়ক হতে হবে, বাধা নয়।”
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.