তুরস্কের অনুরোধে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সঙ্গে স্থগিত হওয়া আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) কূটনৈতিক সূত্র জানায় ইস্তাম্বুলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে একাধিক দফা বৈঠক হলেও কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
তুরস্ক এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো ও সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার লিখেছেন, চার দিনব্যাপী এই সংলাপ কোনো কার্যকর সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি জানান, পাকিস্তান বহুদিন ধরেই আফগান তালেবান সরকারের কাছ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা চেয়ে আসছে, বিশেষ করে সেইসব জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে, যারা পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
তারার বলেন, কাবুলে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তান বারবার তাদের সঙ্গে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করেছে — যা ভারত-সমর্থিত ফিতনা আল খারিজ (টিটিপি) ও ফিতনা আল হিন্দুস্তান (বিএলএ)-এর কর্মকাণ্ডের ফল।
তিনি আরও জানান, ইসলামাবাদ তালেবান সরকারকে বারবার দোহা চুক্তিতে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু কোনো ফল আসেনি।
তার ভাষায়, আফগান তালেবান সরকারের অব্যাহত সন্ত্রাসী সমর্থনের কারণে পাকিস্তানের আন্তরিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তালেবান সরকার আফগান জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা দেখায় না; বরং যুদ্ধভিত্তিক অর্থনীতিতেই তারা টিকে আছে।
একই দিনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ ইস্তানবুলে পাকিস্তান ও আফগান প্রতিনিধিদলের চারদিনব্যাপী আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর তালেবান শাসনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
একটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিদেশগুলোর অনুরোধে শান্তির সুযোগ দিতে আমরা আলোচনায় বসেছি, কিন্তু কয়েকজন আফগান কর্মকর্তার বিষাক্ত মন্তব্য তালেবান শাসনের বিভক্ত ও কৌশলী মানসিকতার ইঙ্গিত দেয়। এবারের ধৃষ্টতা ও উপহাস আমরা আর সহ্য করবো না।
আসিফ আরও বলেন, পাকিস্তানের ভেতরে কোনও সন্ত্রাসী হামলা বা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটলে আপনাদের সেই কুকীর্তির কড়া ফল ভোগ করতে হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.