সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে ভয়ঙ্কর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। সার্ভার ব্যবহার করে অন্য গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ব্যাংক জালিয়াতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয় এবং মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ঘটনাটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে গত পরশুদিন একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”
সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে গত বৃহস্পতিবার ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনেন এক ব্যক্তি, যার ব্যাংক হিসাব রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখায়। চার দিন পর সোমবার ওই সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া হয় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে, যা পরবর্তীতে ঢাকার শ্যামলী শাখা থেকে তুলে নেওয়া হয়।
একই প্রক্রিয়ায় একই দিনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ এবং এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসার পর তা আটকে দেওয়া হয়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্রের পরিমাণ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস মিলে প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো হয়।
জালিয়াতি এখন পর্যন্ত কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছে। অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি।
সঞ্চয়পত্রের লেনদেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্ভার ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত হয়। চিহ্নিত প্রতারণার ঘটনাগুলো সেই সার্ভার হ্যাক করে করা হয়েছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.