সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, রাশিয়া, মরক্কো এবং কাফকো থেকে আরও দুই লাখ পাঁচ হাজার টন সার কিনছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ১৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার টন ইউরিয়া, ৬০ হাজার টন টিএসপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার রয়েছে। এছাড়া ১৯৯ কোটি ২০ লাখ টাকায় ২০ হাজার টন সার তৈরির উপাদান ফসফরিক এসিড আমদানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ-সংক্রান্ত সাতটিসহ মোট ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের বাইরে থাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভার্চুয়ালিভাবে যুক্ত হয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে চলতি অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন থেকে এক লটে ৪০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস থেকে ৪০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৩৯২.৩৩ ডলার দরে এই ৮০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন হয়েছে। প্রতি টন ৩৮০ ডলার হিসেবে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি টনের দাম পড়ছে ৩৫৬.২৫ ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে আমদানি হচ্ছে ৬০ হাজার টন টিএসপি সার। এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল)-এর জন্য ২০ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেন করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের দুটি প্যাকেজে ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মীর হাবিবুল আলম এ কাজ বাস্তবায়ন করবে।
এদিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে ছয়তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ১৫৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে যৌথভাবে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ও শেলটেক ইঞ্জিনিয়ার্স এ পূর্ত কাজ বাস্তবায়নে কাজ পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বে-টার্মিনাল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাইয়ের জন্য ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে **ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি)**কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.