মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি তার এশিয়া সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। যদিও এমন কোনও বৈঠকের পরিকল্পনা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এশিয়া সফরের সময় বাড়ানোর আগ্রহ ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি এখনও এ বিষয়ে কিছু বলিনি। উল্লেখও করিনি। তবে যদি তিনি সাক্ষাৎ করতে চান, আমি অবশ্যই দেখা করতে চাইব। আমি কিম জং উনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিলেমিশে চলেছি, আমি তাঁকে পছন্দ করি, সেও আমাকে পছন্দ করে। যদি তিনি দেখা করতে চান, আমি তখন দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকব।
এই সপ্তাহের শেষের দিকে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন, যেখানে তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) সিইও সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, সম্ভাব্য বৈঠকটি সহজ করতে ট্রাম্প তার এশিয়া সফর বাড়ানোর কথা বিবেচনা করবেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, তিনি এ ব্যাপারে উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, আমি এখনও এ নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু আমার মনে হয় উত্তর হবে—হ্যাঁ। আমি সময় বাড়াবো। অবশ্যই তা করব। এটি আমাদের সফরের শেষ গন্তব্য। তাই এটি করা বেশ সহজ হবে।
এরপর এক সাংবাদিক জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে আলোচনায় ফেরাতে কী প্রস্তাব দিতে পারে।
এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা আছে—শুরু করার জন্য এটিই যথেষ্ট বড় একটি বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ওর (কিম জং উন) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, আমি তাকে দেখতে খুবই আগ্রহী।
ট্রাম্প ও কিম জং উন প্রথম সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরপর কয়েকটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চলে, যেখানে কিম জং উন ট্রাম্পকে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের আমন্ত্রণ জানান—ফলে ট্রাম্প হন প্রথম কর্মরত মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি পদে থেকে পায়ে হেঁটে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন।
তবে আলোচনাগুলো কোনও বড় অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয় এবং পরবর্তীতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তি আলোচনা কার্যত ভেস্তে যায়।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.