অবশেষে চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলো। দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার চালু হলো দুই প্রতিবেশী দেশের সরাসরি ফ্লাইট। রোববার (২৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় কলকাতা থেকে গুয়াংঝুতে প্রথম দৈনিক ফ্লাইটটি পরিচালনা করে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সংস্থা ইন্ডিগো।
বিমানটি প্রায় ১৮০ যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ চীনের গুয়াংজুতে নেমেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০২০ সালের শুরুর দিকে কোভিড মহামারীর মধ্যে প্রথম দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত হয়। পরে হিমালয় এলাকায় বিতর্কিত গালওয়ান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী এক সংঘাত এবং তাকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে এই স্থগিতাদেশ দীর্ঘায়িত হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয় দেশকেই সম্পর্কের টানাপড়েন কমাতে আগ্রহী মনে হচ্ছে। গত বছর তারা সীমান্তে টহল নিয়ে ঐতিহাসিক এক চুক্তিতেও পৌঁছায়।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের অগাস্টে চীনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ৭ বছর পর। একই মাসে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-ও ভারত সফর করেন।
ভারতের সরকার বলছে, পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে’ ও ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে’ সহায়তা করবে।
এদিকে ভারতও চীনের নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া শুরু করেছে।
দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুকে স্মরণীয় করে রাখতে ইন্ডিগোর ফ্লাইটে যাত্রীদের চেকইনের সময় এয়ারলাইনের কর্মীরা পিতলের প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন।
ঊর্ধ্বতন এক চীনা কনস্যুলার কর্মকর্তা চিন ইয়ং কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, “চীন-ভারত সম্পর্কের জন্য আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।”
যাত্রীদের একজন বলেছেন, সরাসরি সংযোগের ফলে লজিস্টিকস ও ট্রানজিটের সময় বাঁচবে।
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসও নভেম্বরে দিল্লি থেকে সাংহাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.