ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)-এর সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে ইপিআই (অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স সূচক) বিশ্লেষণে উৎপাদনশীল খাত (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর) দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। জরিপে বলা হয়, মোট অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উৎপাদনশীল খাতের অংশ ৫৬ শতাংশ এবং সেবাখাতের অংশ ৪৪ শতাংশ অবদান রয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বারের মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক অবস্থা সূচক’ ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় এ সব তথ্য জানানো হয়। এ সূচকে খাতভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিবর্তন ও প্রবণতা নিয়ে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জরিপ প্রকাশ করা হয়।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সভাপতি তাসকীন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ড. একেএম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী।
এ সময় জানানো হয়, উৎপাদনশীল খাত দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, পোশাক ও তৈরি পোশাক (রেডিমেড গার্মেন্টস) খাত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, যা উৎপাদনশীল খাতের মোটের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে খাদ্যপণ্য খাত ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, বস্ত্রখাত ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া মৌলিক ধাতু খাতের অংশ ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ওষুধ ও রাসায়নিক খাত ২ দশমিক ৭ শতাংশ, চামড়া ও সংশ্লিষ্ট পণ্য ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য অ-ধাতব খনিজ পণ্যের অংশ ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে সেবাখাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশীদারত্ব রয়েছে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্যে, যা ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। এরপর রয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পরিবহন খাত ১৯ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোশাক ও খাদ্যপণ্য খাতের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক শিল্পখাতকে এগিয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি সেবাখাতে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্যের আধিপত্য অর্থনীতিতে অভ্যন্তরীণ ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। উৎপাদনশীল ও সেবাখাত এই ভারসাম্য অর্থনীতিকে আরো বহুমুখী ও টেকসই করে তুলবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.