শরিয়াহভিত্তিক ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনায় আকিজ রিসোর্স

শরিয়াহভিত্তিক ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে যাচ্ছে আকিজ রিসোর্স। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর হারানো গ্রাহক ফিরিয়ে আনা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে ঋণ পৌঁছে দেওয়াই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। অনুমোদন পেলে ব্যাংকটির নাম হবে ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’। এতে অংশীদার হিসেবে যুক্ত থাকবে ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনায় অভিজ্ঞ বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের লিংক রোডের আকিজ হাউসে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান, চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার ফিরোজ কবির, চিফ পিপল অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন এবং আকিজ আই-বিওএসের সিইও এস কে মো. জায়েদ বিন রশিদ।

উদ্যোক্তারা জানান, ব্যাংকটিতে টাকা স্থানান্তরে কোনো খরচ দিতে হবে না। মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আবাসন ঋণ খাতেও কাজ করবে। শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন জানাবে আকিজ রিসোর্স।

সভায় তুলে ধরা হয় আকিজ রিসোর্সের বিকাশযাত্রা। জানানো হয়, আকিজ গ্রুপ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চারটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আকিজ রিসোর্স—যার কর্মীসংখ্যা ছিল ৩ হাজার এবং মূল্য ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির আওতায় রয়েছে ৪০টি কোম্পানি, যেখানে কাজ করছেন প্রায় ১০ হাজার কর্মী; সামগ্রিক মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকায়।

আলোচনা সভায় আরও বলা হয়, আকিজ রিসোর্স বর্তমানে লজিস্টিক, প্রযুক্তি, ভোগ্যপণ্য, ট্রেডিং, কৃষি, সেবা, প্রকৌশল, অটোমোবাইল, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য ও নির্মাণসহ বহুমুখী খাতে ব্যবসা করছে। সব কার্যক্রমই প্রযুক্তিনির্ভর এবং কাগজবিহীন ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনা করতে চায়।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, “ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষকরা সহজেই ঋণ পাবে, যা এখনো অনেকের নাগালের বাইরে।”

তিনি আরও বলেন, “আকিজ গ্রুপের ৮৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও সুনামের উত্তরাধিকার আমরা বহন করছি। আমাদের উদ্দেশ্য মুনাফা নয়, বরং ইসলামি ধারার মান বজায় রেখে স্বচ্ছ ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা।”

অর্থসূচক/