সৌম্য সরকার এবং সাইফ হাসানের হাফ সেঞ্চুরির পর নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৪ এবং শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের আট বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংসে সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে আট উইকেটে ২৯৬ রান। শুরুতে সাইফ-সৌম্যের ১৭৬ রানের ওপেনিং জুটির পরও শেষের ব্যর্থতায় তিনশ’র খুব কাছে গিয়েও তা স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এ দিন দারুণভাবে শুরু করে বাংলাদেশের দুই ওপেনার। শুরু থেকে আগ্রাসী খেলতে খেলতে দশ ওভার শেষে বাংলাদেশ তোলে বিনা উইকেটে ৭৪ রান। দারুণ খেলতে খেলতে ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য সরকার। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি। ১৬ ওভারের মধ্যে দলীয় শতরান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি পান সাইফ।
সৌম্য-সাইফের দৃঢ়তায় ২০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ১৩৯ রান। কাছাকাছি গিয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি পাননি সাইফ। রস্টন চেজের বলে লং অনের সীমানা পার করতে গিয়ে জাস্টিন গ্রেভসের মুঠোয় ধরা পড়েন তিনি। ছয়টি চার ও সমান সংখ্যক দৃষ্টিনন্দন ছক্কায় ৭২ বলে ৮০ রান আসে ইনফর্ম এই ওপেনারের ব্যাটে।
সাইফের মতো সেঞ্চুরি করতে পারেননি সৌম্যও। দলীয় ১৮১ রানে আকিল হোসেইনের বলে বড় শর্ট হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৮৬ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ৯১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাটে। ১০৫.৮১ স্ট্রাইক রেটে খেলে ফিরে যান সৌম্য। এরপর শান্ত-তাওহীদ হৃদয় ৫০ রানের জুটি গড়লেও বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। হৃদয় আউট হন ৪৪ বলে ২৮ রান করে। শেষদিকে সোহানের একটি চার ও একটি ছক্কা এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ১৭ বলে ১৭ রানের ইনিংসে তিনশ’র কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.