পাকিস্তানে মিলিশিয়া নেতাসহ ৬ জনকে হত্যার পর মরদেহে আগুন

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় সরকারপন্থী এক মিলিশিয়া নেতা ও আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পরে হামলাকারীরা তাদের দেহ পুড়িয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক সরকারি কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বন্দুকধারীরা প্রথমে মিলিশিয়া নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান, এরপর গাড়িতে জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি বলেন, “আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে ছয়জনের দেহ একেবারে পুড়ে যায়।”

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। তবে ওই কর্মকর্তা জানান, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সম্প্রতি ওই মিলিশিয়া নেতার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল, তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়।

পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার টিটিপি যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালাতে দিচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাবুলের তালেবান সরকার।

গত ৯ অক্টোবর কাবুলে এক বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, এতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উভয় দেশ। ওই সংঘাতে অনেকের প্রাণহানি ঘটে।

আফগান তালেবান সরকার ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে পাল্টা হামলা চালায়, যা সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। পরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

আগামী শনিবার তুরস্কে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে সীমান্ত নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.