ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর অংশ হিসেবে তুরস্কের কোনো সেনা মোতায়েন হবে না, এমন অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল। এ নিয়ে তারা সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে, গাজায় তুর্কি সেনা মোতায়েন নিয়ে ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। তবে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু এ দাবি অস্বীকার করেন।
গতকাল মিসরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাসাদ এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিষয়টি সামনে আসে যে, তুরস্কের সেনা মোতায়েন নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহুর দপ্তর গণমাধ্যমকে জানায়, “মিসরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনো বিরোধ নেই। (গাজায়) তুরস্কের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।”
স্কাই নিউজ আরাবিয়ার বরাতে একটি ফিলিস্তিনি সূত্র জানায়, গাজায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে তুরস্কের অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু।
এমনকি মিসর ও জর্ডান কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীকেও গাজায় মোতায়েনের ক্ষেত্রে ভেটো দিয়েছেন তিনি।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার আগে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র করতে হবে এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ থেকে তাদের সরিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হামাসকে নিরস্ত্র করার পর গাজার স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.