ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তজাচি হানেগবিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কাতারে হামলা ও গাজা সিটি দখলে অভিযানসহ নীতিগত কয়েকটি ইস্যুতে মতবিরোধের পর এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এছাড়া হানেগবি নিজেও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতাগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড
মঙ্গলবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নতুন প্রধান নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তজাচি হানেগবিকে জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। ফলে হানেগবির দায়িত্বকাল শেষ হচ্ছে।
হানেগবি বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলাকে ঘিরে ইসরায়েলের ব্যর্থতা নিয়ে “বিস্তারিত তদন্ত” হওয়া উচিত এবং তিনি সেই ব্যর্থতার দায় নিজেও স্বীকার করছেন।
আরেক গণমাধ্যম ইয়েদিয়থ আহরোনথ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, হানেগবির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান, গিল রেইখ। তিনি এখন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২সহ স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর চালানো বিমান হামলা এবং গাজা সিটি দখলের সামরিক অভিযানের বিষয়টি নিয়ে হানেগবির সঙ্গে নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধ দেখা দেয়।
অভিযান শুরু হওয়ার আগে মন্ত্রিসভায় হানেগবি নেতানিয়াহুর গাজা দখলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “গাজা সিটি দখল করলে ইসরায়েলি বন্দিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। আমি সেনাপ্রধান, ইয়াল জামিরের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এ কারণেই আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি।”
গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। বিশ্বজুড়ে বহু দেশ ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.