রিশাদের ঝড়ে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বেশ সতর্ক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চারজন স্পিনার খেলায় ক্যারিবিয়ানরা। প্রথমবারের মতো পুরো পঞ্চাশ ওভারে স্পিনারদের বোলিংয়ে আনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ করে আট উইকেটে ২১৩ রান।

শুরুর ভাগে ৮৯ বলে ৪৫ রান করে বাংলাদেশের ইনিংসের সুর বেঁধে দেন সৌম্য সরকার। মাঝের সময় থেকে শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৫৮ বলে ৩২ রান করে। আর শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ইনিংসে দুই শতাধিক রান পার করে বাংলাদেশ। ১৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন রিশাদ হোসেন।

শেরে বাংলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ওপেন করেন সাইফ হাসান আর সৌম্য সরকার। সাইফ আরও একবার ওয়ানডেতে ব্যর্থ। ওপেনিং জুটিতে ২২ রান আসলেও সাইফ ফিরে যান ১৬ বলে মাত্র ৬ করে। সেট হয়ে আউট হন তাওহিদ হৃদয় (১৯ বলে ১২)। একইভাবে সেট হয়ে শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত (২১ বলে ১৫), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৫ বলে ১৭)।

সৌম্য আজ ভালো খেলছিলেন, কঠিন উইকেটে ছিলেন ফিফটির দোরগোড়ায়। কিন্তু তিনিও বড় শট খেলতে গিয়ে হাফসেঞ্চুরি মিস করেন। ৮৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কা হাঁকান সৌম্য। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মেহেদী মিরাজ আর নাসুম আহমেদ যোগ করেন আরও ২৫ রান। ভাঙা পিচে ছক্কা হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল নাসুমের। ওই ওভারেই গুদাকেশ মোতির ঘূর্ণিতে ব্যাট পেতে দিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ২৬ বলে ১৪ করে ফেরেন নাসুম।

উইকেটে এসেই ব্যস্ততা দেখাতে থাকেন নুরুল হাসান সোহান। ঘূর্ণি পিচেও বেশ কয়েকটি ভালো শট খেলেন তিনি। ফলে সপ্তম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩ রান আসে ৪২ বলে। ২ চার আর ১ ছক্কায় বল সমান ২৩ রান করে মোতিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সোহান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুদাকেশ মোতি ৩টি আর আকিল হোসেন ও অলিক আথানেজে নেন ২টি করে উইকেট।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.