বিগত ফলাফলগুলোয় গলদ ছিল: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, বিগত ফলাফলগুলোয় গলদ ছিল, এবারের ফলাফল থেকে এটিই প্রতীয়মান হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভুল লিখলেও ১, ২ দিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সবাই একমত হয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে খুশি। বোর্ডের পক্ষ থেকে নির্দেশনা না পেয়ে পরীক্ষকরাও আনন্দিত। তারা ভালো খাতা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, তারা দেখে নম্বর পাঠিয়েছেন। আমরা সংযোজনের কাজ করেছি।

ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, এসএসসির পর এইচএসসির ফলাফল দিলাম। কাউকে ছক বেধে দিইনি যে ছাড় দিয়ে পাসের হার বাড়াবেন। এমন ভাবনা থাকার প্রয়োজন নেই। সরকারের নির্দেশনা ছিল, নিয়ম মেনেই সব হবে।

সকাল ১০টায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৫৮.৮৩, বিগত ২০২৪ সালে ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠান ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি।

আর চলতি ২০২৫ সালে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠান কমে হয়েছে ৩৪৫টি। সে হিসেবে ১ হাজার ১৩টি শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে। এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ৪ হাজার ৯৯১ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৮৭ হাজার ৮১৪ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ৫ হাজার ৯৭ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, ২০২৫ সালে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৯৭ জন, জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ২০২৪ সালে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি, ২০২৫ সালে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান ২০২টি। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৫টি। আর মোট কেন্দ্র বেড়েছে ১০৫টি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.