সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। তৃতীয় ওয়ানডেতেও লড়াকু সংগ্রহ গড়েছে দলটি। এ দিনও ৯৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন ইব্রাহীম জাদরান। সঙ্গে রহমানউল্লাহ গুরবাজও খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস। শেষদিকে মোহাম্মদ নবির ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান মাত্র ছয় রান খরচায় নেন তিন উইকেট।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান মিলে এদিন আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ৭ ওভারেই তারা পঞ্চাশ রান তুলে নেয়। প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। ১৬তম ওভারে গিয়ে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৪৪ বলে ৪২ রান করা গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করে আউট করে তানভির ইসলাম। এরপর অবশ্য রিভিউ নিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে রিভিউতে দেখা যায় বল সোজা আঘাত করেছে প্যাডে এবং বল স্টাম্প লাইনের মধ্যেই ছিল। ফলে ফিরে যেতে হয় গুরবাজকে।
সেদিকউল্লাহ অতলকে নিজের প্রথম বলেই কট এন্ড বোল্ড করে জুটি ভেঙেছেন সাইফ হাসান। ৪৭ বলে ২৯ রান করে আউট হয়েছেন এই আফগান ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ অতল ও ইব্রাহীম গড়েন ৭৪ রানের জুটি। এই জুটি ভেঙেই বাংলাদেশকে আশার আলো দেখান সাইফ।
নিজের দ্বিতীয় ওভার খেলতে এসে সাইফ আউট করেছেন ১০ বলে ২ রান করা শহীদিকে। আফগান অধিনায়ক সাইফের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্কয়ার লেগে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে। সেদিকউল্লাহকে ফেরানোর ওভারে কোনো রানই দেননি সাইফ। এরপর দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আফগান ব্যাটারদের আবারও পরীক্ষার মুখে ফেলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র এক রান খরচ করেন সাইফ।
আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ৯৫ রান করে আউট হয়েছেন ইব্রাহীম। তিনি রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তানভির ইসলামের বল ফাইন লেগে পাঠিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন ইব্রাহীম। দৌড় শুরু করেও রান সম্ভব নয় বুঝতে পেরে ফেরার চেষ্টায় ডাইভ দিয়েও সফল হননি আফগান এই ওপেনার। নাহিদের সরাসরি থ্রোতে আউট হয়ে ফিরতে হয় ইব্রাহীমকে। এরপর সাইফ আউট করেছেন ইকরামকে। তিনি ১৩ বলে ২ রান করে ফেরেন সাইফের বলে বোল্ড হয়ে।
তানভির ইসলাম বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ২১ বলে ২০ রান করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। দারুণ এক ডেলিভারিতে আফগান অলরাউন্ডারকে বোল্ড করে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। উইকেটে এসেই তানভিরকে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান রশিদ খান। তবে সেই ঝড়ো শুরু ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন ৬ বলে ৮ রান করা রশিদ। ফলে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানরা। কিন্তু শেষদিকে নবির ঝড়ে বড় সংগ্রহ করে আফগানরা। মেহেদী মিরাজের করা ৪৯তম ওভারে নবির তিনটি ছক্কায় ২৫ রান নেয় আফগানরা। আর হাসান মাহমুদের করা ইনিংসের শেষ ওভারে নবি হাঁকান তিনটি চার ও একটি ছক্কা। এই ওভারে আসে ৪৯ রান। ৩৭ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় অপরাজিত ৬২ রান করেন নবি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.