আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগের তিনটি নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব দায়িত্ব দেওয়া থেকে বিরত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে একটি একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের জন্য পর্যাপ্ত বডি ওর্ন ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে যেকোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ১৩ জন হারে আনুমানিক ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার জনকে অস্ত্রসহ ও নিরস্ত্র ৪ লাখ ৫০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষিতদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ, ৩৩ হাজার বিজিবি এবং প্রায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। তাদের প্রশিক্ষণ চলমান আছে এবং দ্রুতই তা সম্পন্ন করা হবে।
উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ বা নিরাপদে প্রস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে কী চায়, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ছেলেমেয়ে সবাই দেশে। আমি একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব?’
অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের সেনাবাহিনীর হেফাজতে রেখে বিচার করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.