সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে গুমের শিকার বিশেষ বন্দিদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল, তাদের ‘মোনালিসা’ নামে ডাকা হতো বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শেখ হাসিনার শাসন আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের রোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর এসব তথ্য জানান।
শুনানির একপর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তির হাত কেটে ফেলা, নখ উপড়ে ফেলা, ঘুর্ণায়মান চেয়ারে বসিয়ে, কিংবা ইলেকট্রনিক শক দিয়ে রোমহর্ষক সব নির্যাতন করা হতো। এছাড়া গুমের শিকার বন্দিদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে। আর গুম ঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’, যা পরবর্তী সময়ে ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, অপরদিকে, গোপন বন্দিশালাগুলোকে ‘হাসপাতাল’ বা ‘ক্লিনিক’ নামে ডাকা হতো। আর গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’।
প্রসিকিউসনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দুই মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেইসঙ্গে আসামিদের গ্রেফতার করে হাজির করতে আগামী ২২ অক্টোবর দিন নির্ধারণের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.