আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি— আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হোক বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, অনেক বিষয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। যদি মূল দুটি বিষয়কে ধরা হয়, তবে একদিকে কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয় রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করে সংবাদ সংস্থাটি।
তারেক রহমান বলেন, মূলত যেসব সংস্কার করা জরুরি— সেসব সংস্কার সম্পন্ন করে একটি স্বাভাবিক, সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। আমরা আশা করি, তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদন করবেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার কাজটি কতটা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারছেন, তার ওপরই মনে হয় সম্পর্কের উষ্ণতা কতটা থাকবে— সেটি নির্ভর করবে।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তারেক রহমান। ২০০৮ সাল থেকে নির্বাসনে থাকা ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা চলেছে। তিনি এসব মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। নতুন সরকার প্রতিহিংসার বৃত্ত ভাঙবে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরতে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া তারেক রহমান বলেন, “যদি তারা অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তারা কিভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে?”
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসনের মতো বিএনপি সরকার শত শত কোটি ডলার উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.