সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দরবৃদ্ধির জন্য গণশুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিয়াম ল্যাবরেটরিতে পেট্রোবাংলাসহ গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবের ওপর এ শুনানি শুরু করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
শুনানিতে উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, আমি আশা করব পেট্রোবাংলা তার উপস্থাপনায় সার শ্রেণিতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে তুলে ধরবেন। গণশুনানি একটি আনি প্রক্রিয়া, এর ন্যায্যতা প্রমাণের দায়িত্ব প্রস্তাবকারীর। আবার কেউ ভিন্নতা প্রস্তাব করলে সেটির যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব ভিন্নমত পোষণকারীর। কমিশন যুক্তির যথার্থতা যাচাই করে আদেশ চূড়ান্ত করবে।
সাধারণত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবগুলোতে একইসঙ্গে সব শ্রেণির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতো। কিন্তু এবারই প্রথম সার শ্রেণিকে আলাদা করে পেট্রোবাংলা ও সব গ্যাস বিতরণ কোম্পানি বিশেষ এ প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়, বাড়তি দাম ছাড়া সার কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। এবার সেই গ্যাসের দাম হবে প্রতি ঘনমিটার ৪০ টাকা।
বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৬ টাকা। একলাফে ২৪ টাকা বাড়ানোর কারণ হিসেবে পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, নতুন গ্যাসের সংস্থান করতে হলে এলএনজি আমদানি করতে হবে। এজন্য বছরে যে আর্থিক ব্যয় বাড়বে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) তা পরিশোধ করতে হবে। জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, সার কারখানায় ২০১৯ সালে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা।
এরপর ধারাবাহিকভাবে কয়েক ধাপে দাম বাড়িয়ে বর্তমান দাম ঘনমিটার প্রতি ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিসিআইসি গ্যাসের বাড়তি দাম পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.