চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ২.৬৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। এটি আগের বছরের একই সময়ে পাওয়া ২.৪০ বিলিয়নের তুলনায় ১১.৭২ শতাংশ বেশি। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.৪২ বিলিয়ন ডলার।
রবিবার (৫ আক্টোবর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাস আয় এসেছিল ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। চলতি বছরের আগস্টে প্রবাস আয় এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাস আয়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৫ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯৫ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দেশে উচ্চ প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলেও বেশ কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাস আয় আসেনি।
এসব ব্যাংকের মধ্যে দেশি বেসরকারি বাণিজ্যিক পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক রয়েছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাস আয় আসেনি, সেগুলো হলো, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও হাবিব ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার, যা এক মাসে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। এছাড়া মে মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৯৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থাৎ বছরের শুরু থেকে প্রবাসী আয় দেশে প্রবাহিত হওয়ার ধারা এখনও শক্তিশালী।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিনে (৩০ সেপ্টেম্বর) একদিনে দেশে এসেছে ১.২৪ কোটি ডলার, আর অক্টোবরের প্রথম চার দিনে দেশে প্রবেশ করেছে ১.৪১ কোটি ডলার।এই ধারাবাহিক প্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে দৃঢ় রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ৫ অক্টোবর দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৫০২ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী নেট রিজার্ভ ২৬.৬২৩ বিলিয়ন ডলার।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.