বাবার থাকতেন ভারতে, মেয়ের বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশে। তাই বাবার মৃত্যু সংবাদেও পেলেও বাধ সাধে কাঁটাতারের বেড়া। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের উদারতায় শেষবারের মতো বাবার মুখটি দেখলেন মেয়ে মিতু মন্ডল (৩৮) ও তার স্বজনরা।
জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাঁশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা জব্বার মণ্ডল (৭৫) মঙ্গলবার ইন্তেকাল করেন। তার মেয়ে মিতু মণ্ডলের (৩৮) শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পোড়াবাড়ী গ্রামে। বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে মিতুর পরিবার আবেদন করেন বিজিবি ও বিএসএফের কাছে। তারই সূত্র ধরে গতকাল দুপুরে বেনাপোল সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ দেখানো হয় তার মেয়ে ও স্বজনদের।
যশোর বিজিবির (৪৯ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, বেনাপোল সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ দেখেন বাংলাদেশে থাকা তার স্বজনরা।
এ সময় বাবার লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাংলাদেশে থাকা তার বড় মেয়ে মিতু মন্ডলসহ তার স্বজনরা। এ সময় দুই সীমান্তরক্ষীদেরও চোখ মুছতে দেখা যায়। পরে লাশ দাফনের উদ্দেশে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাংলাদেশি স্বজনরা তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ি গ্রামের বাবলু মন্ডলের সঙ্গে মিতু মন্ডলের এর বিয়ে হয়। বাবলু মন্ডল বলেন, পাসপোর্ট ভিসা না থাকায় শ্বশুরের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। পরে বিজিবি ক্যাম্পে আবেদন করার পর তারা শেষবারের মতো মৃত মুখটি দেখার সুযোগ করে দেয়। আমরা বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞ।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন- ধান্যখোলা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সেলিম মিয়া এবং ভারতের ৬৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মোস্তফাপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সঞ্জয় কুমার রায়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.